[উত্সর্গ: হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী দিনগুলো....]
আশির দশকের কথা। কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে ছাত্রজীবনে আমরা অনেকটা পথ হেটেছি একসাথে। একদিন এক অগ্রজ বন্ধুর আমন্ত্রণ পেলাম। সে আমাদের সবার আচার খাওয়াবে। আমরা মহাখুশী। ওই বন্ধুর আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা বেশ পুলকিত। কারণ সচরাচর এমন আমন্ত্রণ সহজে মেলে না তাঁর কাছ থেকে। আর আদৌ এটা সত্যি কিনা, সে সংশয়তো রয়েছেই। যাহোক, আমরা সবাই যথাসময়ে বন্ধুর আস্তানায় উপস্থিত। দেখি - অনেক রকমের মজার-মজার আচারের মহা-সমারোহ। সবাইতো রীতিমত স্তম্ভিত!
আচার খেয়ে সবাই জানতে চাইলো - কে বানিয়েছে এতোসব মজার-মজার আচার? 'আরে, আগে মজা করে খাও। পরে সব বলবো।' দূরদর্শী দুষ্টুমীতে আমাদের এই বন্ধুর সৃজনশীল প্রতিভা বেশ প্রশংসার যোগ্য। সমাজের এই প্রথাগত বৈষম্য ভেঙ্গে চুরমার করতে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেই প্রত্যয়ে, সে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির ধারার সঙ্গে যুক্ত। সে যাই হোক। এবার শুনুন তাঁর আচার সমাচার। আমরা সবাই জানতে চাইলাম। কীভাবে এতো মজার-মজার আচার পেলেন?
উনি বললেন, 'সমাজ আমাদের সবাইকে সমান অধিকার দ্যায়নি। কেউ খাবে, কেউ খাবে না; তা হবে না। আচারগুলো আমার বানানো নয়। ধানমন্ডি-তে আপারা দেয়ালের উপর কতো রকমের আচার রোদে দ্যায়। আমি মোটর-সাইকেল চালিয়ে যাই। আমার পছন্দ মত পিক করে আনি! আর ওই ফুলগুলো এনেছি তোমাদের জন্য - আপাদের বাগান থেকে। আপাদেরকে অনেক আপন ভাবি। আমাদের অজানা আপাদের কাছে অপার কৃতজ্ঞতা...!'
এই হলো সেদিনের সেই আচার-সমাচার! প্রতিবেশীর সাথে আমাদের মিল-ঝিলমিল। 'আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে....!' আমাদের সমাজের অনাবিল অনাচার প্রথা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর সৃজনশীল তিরস্কার ও দুর্বার সংগ্রামের কাহিনীগুলো শোনাবো অন্য কোনো একদিন....।
♥♪♥
শফিউল ইসলাম
কেমব্রিজ, ওন্টারিও, ক্যানাডা
২০১৪ জুন ০৭
সৌজন্যে:
Life2Love
ShafSymphony
Vision Creates Value
আশির দশকের কথা। কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে ছাত্রজীবনে আমরা অনেকটা পথ হেটেছি একসাথে। একদিন এক অগ্রজ বন্ধুর আমন্ত্রণ পেলাম। সে আমাদের সবার আচার খাওয়াবে। আমরা মহাখুশী। ওই বন্ধুর আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা বেশ পুলকিত। কারণ সচরাচর এমন আমন্ত্রণ সহজে মেলে না তাঁর কাছ থেকে। আর আদৌ এটা সত্যি কিনা, সে সংশয়তো রয়েছেই। যাহোক, আমরা সবাই যথাসময়ে বন্ধুর আস্তানায় উপস্থিত। দেখি - অনেক রকমের মজার-মজার আচারের মহা-সমারোহ। সবাইতো রীতিমত স্তম্ভিত!
আচার খেয়ে সবাই জানতে চাইলো - কে বানিয়েছে এতোসব মজার-মজার আচার? 'আরে, আগে মজা করে খাও। পরে সব বলবো।' দূরদর্শী দুষ্টুমীতে আমাদের এই বন্ধুর সৃজনশীল প্রতিভা বেশ প্রশংসার যোগ্য। সমাজের এই প্রথাগত বৈষম্য ভেঙ্গে চুরমার করতে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেই প্রত্যয়ে, সে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির ধারার সঙ্গে যুক্ত। সে যাই হোক। এবার শুনুন তাঁর আচার সমাচার। আমরা সবাই জানতে চাইলাম। কীভাবে এতো মজার-মজার আচার পেলেন?
উনি বললেন, 'সমাজ আমাদের সবাইকে সমান অধিকার দ্যায়নি। কেউ খাবে, কেউ খাবে না; তা হবে না। আচারগুলো আমার বানানো নয়। ধানমন্ডি-তে আপারা দেয়ালের উপর কতো রকমের আচার রোদে দ্যায়। আমি মোটর-সাইকেল চালিয়ে যাই। আমার পছন্দ মত পিক করে আনি! আর ওই ফুলগুলো এনেছি তোমাদের জন্য - আপাদের বাগান থেকে। আপাদেরকে অনেক আপন ভাবি। আমাদের অজানা আপাদের কাছে অপার কৃতজ্ঞতা...!'
এই হলো সেদিনের সেই আচার-সমাচার! প্রতিবেশীর সাথে আমাদের মিল-ঝিলমিল। 'আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে....!' আমাদের সমাজের অনাবিল অনাচার প্রথা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর সৃজনশীল তিরস্কার ও দুর্বার সংগ্রামের কাহিনীগুলো শোনাবো অন্য কোনো একদিন....।
♥♪♥
শফিউল ইসলাম
কেমব্রিজ, ওন্টারিও, ক্যানাডা
২০১৪ জুন ০৭
সৌজন্যে:
Life2Love
ShafSymphony
Vision Creates Value
বন্ধুর বারান্দায় আম। আলোকচিত্র: জয়!
আমাদের আস্তানায় আম গাছ। আলোকচিত্র: শ.ই.।
No comments:
Post a Comment