[উত্সর্গ: হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী দিনগুলো....]
কৈশোরের ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে আমাদের অনেকটা সময় কেটেছে শৈলকুপায় কুমার নদের সেতুর উপর। সূর্যাস্তের পর থেকে জমতো আমাদের মিলনমেলা। কখনো নয়ন ভরে আকাশে সূর্যের অস্তাচলের যাত্রা দেখেছি। কখনো তারা-ভরা রাতে গান শুনেছি। কখনো আবার বর্ষার ভরা নদীতে চাঁদের আলোর ঢেউ খেলতে দেখেছি। এরকম একদিনের মিলন-মেলায় এক অগ্রজ বন্ধু আমাদের সবাইকে সন্দেশ খাওয়ালেন। ঘটনাটা ছিল ভীষণ অপ্রত্যাশিত। দূরদর্শী দুষ্টুমীতে এই বন্ধুর সৃজনশীল প্রতিভার পরশ পেয়েছি আমরা অনকেই। শুনুন তাহলে সেই দিনের সেই সন্দেশ সমাচার।
তখন শৈলকুপা-তে নিয়মিতভাবে লোড শেডিং হতো। ওই বন্ধু খেয়াল করেছে মিষ্টির দোকানের কাচের আলমারীর একটা কাচ ভাঙ্গা। সেই মিষ্টির দোকানে ভাঙ্গা কাচের আলমারীর কাছে বসে ওই বন্ধু কারেন্ট যাবার অপেক্ষায়। যেই কারেন্ট গেল, ভাঙ্গা কাচের ভিতর হাত বাড়িয়ে সে বেশ কিছু সন্দেশ চাদরে ভরে নিল। তারপর আমাদের মিলনমেলায় সেই সন্দেশ বিতরণ। 'আনন্দ যত ভাগাভাগি করা যায় - তত বেড়ে যায়। খাও সবাই মজা করে সন্দেশ খাও। কৃতজ্ঞতা বিজনের মিষ্টির দোকান।'
উনি কয়েকটা সন্দেশ সরিয়ে রাখলেন। বললেন, "এগুলো বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মচারীর জন্য। যাকে বলেছিলাম আজ রাত ৮-টায় লোড শেডিং করলে তোমাকে সন্দেশ খাওয়াবো। সে কথা রেখেছে। তাই তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা!"
♥♪♥
শফিউল ইসলাম
ক্যামব্রিজ, ওন্টারিও, ক্যানাডা
২০১৪ জুন ০৯
সৌজন্যে:
Life2Love
ShafSymphony
Vision Creates Value
কৈশোরের ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে আমাদের অনেকটা সময় কেটেছে শৈলকুপায় কুমার নদের সেতুর উপর। সূর্যাস্তের পর থেকে জমতো আমাদের মিলনমেলা। কখনো নয়ন ভরে আকাশে সূর্যের অস্তাচলের যাত্রা দেখেছি। কখনো তারা-ভরা রাতে গান শুনেছি। কখনো আবার বর্ষার ভরা নদীতে চাঁদের আলোর ঢেউ খেলতে দেখেছি। এরকম একদিনের মিলন-মেলায় এক অগ্রজ বন্ধু আমাদের সবাইকে সন্দেশ খাওয়ালেন। ঘটনাটা ছিল ভীষণ অপ্রত্যাশিত। দূরদর্শী দুষ্টুমীতে এই বন্ধুর সৃজনশীল প্রতিভার পরশ পেয়েছি আমরা অনকেই। শুনুন তাহলে সেই দিনের সেই সন্দেশ সমাচার।
তখন শৈলকুপা-তে নিয়মিতভাবে লোড শেডিং হতো। ওই বন্ধু খেয়াল করেছে মিষ্টির দোকানের কাচের আলমারীর একটা কাচ ভাঙ্গা। সেই মিষ্টির দোকানে ভাঙ্গা কাচের আলমারীর কাছে বসে ওই বন্ধু কারেন্ট যাবার অপেক্ষায়। যেই কারেন্ট গেল, ভাঙ্গা কাচের ভিতর হাত বাড়িয়ে সে বেশ কিছু সন্দেশ চাদরে ভরে নিল। তারপর আমাদের মিলনমেলায় সেই সন্দেশ বিতরণ। 'আনন্দ যত ভাগাভাগি করা যায় - তত বেড়ে যায়। খাও সবাই মজা করে সন্দেশ খাও। কৃতজ্ঞতা বিজনের মিষ্টির দোকান।'
উনি কয়েকটা সন্দেশ সরিয়ে রাখলেন। বললেন, "এগুলো বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মচারীর জন্য। যাকে বলেছিলাম আজ রাত ৮-টায় লোড শেডিং করলে তোমাকে সন্দেশ খাওয়াবো। সে কথা রেখেছে। তাই তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা!"
♥♪♥
শফিউল ইসলাম
ক্যামব্রিজ, ওন্টারিও, ক্যানাডা
২০১৪ জুন ০৯
সৌজন্যে:
Life2Love
ShafSymphony
Vision Creates Value
আমাদের কলেজের এক টুকরো স্মৃতি। আলোকচিত্র: শ.ই.।
No comments:
Post a Comment