নাজনীন সীমন
“One piece of log
creates a small fire, adequate to warm you up, add just a few more pieces to
blast an immense bonfire, large enough to warm up your entire circle of
friends; needless to say that individuality counts but team work dynamites.” ~~Jin Kwon
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেনো এতোদিনেও হয়নি তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে যার
উপর ভিত্তি করে বোধসম্পন্ন যে কোনো মানুষ বলে দিতে পারে কোন ঘরানার লোক কে। আওয়ামী
সরকার যখন ইতিহাসের এই ঘৃণ্য অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি
প্রদানের ব্যবস্হা করছে, প্রধান বিরোধী দল তখন নির্লজ্জ সোর তুলেছে ঘাতক
রাজাকারদের বাঁচানোর জন্য। এটা এখনকার চিত্র। যুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শাসনামলে
যখন বিরোধী তো দূরের কথা, কোনো দলই ছিলো না মেজর জিয়াউর রহমানের, তিনি স্বপ্ন
দেখেছিলেন ক্ষমতার স্বর্ণালী দিগন্তের। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যদিও তাঁর ছিলো না,
তথাপি কোনো ঘাটতি ছিলো না অপবুদ্ধির। ফলতঃ কোণঠাসা যুদ্ধাপরাধী জামাত রাজাকারদের
সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে তিনি আয়ত্ত করেছিলেন আরাধ্যের প্রথম ধাপটি শেখ মুজিবর
রহমানের মতো মহীরূহকে সরিয়ে। ইংরেজীতে একটি বহুপ্রচলিত বাগধারা: “One hand washes the other”-এর চরম প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন তিনি তাঁর জীবনে ঐ দুষ্টচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ
হয়ে। অবশ্য এছাড়া তাঁর ভিন্ন কোনো উপায় ছিলো না উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে
রূপান্তরিত করার। আবার এ প্রশ্নও অপ্রাসঙ্গিক নয় যে আদতে তিনি কোন বিশ্বাসে
বিশ্বাসী ছিলেন, বাঙালী না পাকিস্তান পন্হী ইসলামী চেতনা লালন করতেন নিবিষ্ট ভাবে।
ঐতিহাসিকেরা হয়তো তাদের সুনির্দিষ্ট গবেষণার মাধ্যমে এ বিষয়ে অর্থবহ কোনো
সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন; কিন্তু জাজ্বল্যমান সত্য এই যে প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর
রহমানই রাজাকার পুনর্বাসনের জনক। তিনি শুধু বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েই
ক্ষান্ত হননি, পূর্বকৃত (যথাসম্ভব)চুক্তি অনুযায়ী এদের দেশে বিদেশে ক্ষমতার
সুমিষ্ট স্বাদ দিয়ে সার্বিক নিশ্চয়তা প্রদানপূর্বক প্রদেয় কথার মূল্য রেখেছেন, হীন
স্বার্থ চরিতার্থে ১৭৫৭-তে মীরজাফর চরিত্র্রের পুনঃ চরিত্রায়ণ করেন তিনি নাম
ভূমিকায় থেকে এবং পলাশীর রক্তাক্ত প্রান্তরের অনুকরণে ঢাকার ধানমণ্ডিকে করে তোলেন
বিভীষিকাময় নিকষ ইতিহাসের অংশ।
রাজাকারদের
ক্ষমতারোহণের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে তিনি শহীদের রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে
রোপণ করেছিলেন রূপান্তরিত ঘাতকদের বিষবৃক্ষের বীজ যার বিস্তৃত রূপ আজ আমরা
প্রত্যক্ষ করছি অনেকটা অসহায় হয়ে। অথচ অনেক জ্ঞানী গুণীরা বলে থাকেন সাধারণ ক্ষমfর
কথা যদিও জ্ঞানের বহর প্রসারিত করে সত্যকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে এটি কি, কারা এর
আওতায় ছিলো, কাদের অন্তর্ভূক্ত হবার কোনোই সুযোগ ছিলো না, এবং সর্বোপরি কার সাগ্রহ
ও ঐকান্তিক ইচ্ছার ফসল হিসবে ঘাতকেরা পুনর্বাসিত ও পুরস্কৃত হয়েছিলো, তা এড়িয়ে যান
সুকৌশলে। ফলে ইতিহাস হতে থাকে বিকৃত এবং নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠতে থাকে মিথ্যের পোড়া
মাটিতে রুগ্নভাবে।
যদিও
প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বাংলাদেশের এই যে পট পরিবর্তন তার সবচে’
বড় সুবিধাভোগী এবং তাঁর সুযোগ্য জীবন সঙ্গীর পরিচয় দিয়েছেন, তদুপরি ক্ষেত্র বিশেষে
স্বীয় অর্ধাঙ্গকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক ভাবে কেউ যেনো তাঁর ক্ষমতার স্বপ্নাভিলাসে না প্রতিদ্বন্দ্বী না
বাধা হয়ে আসে, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে জিয়াউর রহমানকে শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়, রাজনৈতিক
ও সামরিক সহস্রাধিক হত্যা করতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বেগম জিয়া প্রতিপক্ষ,
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, সাধারণ মানুষ কাউকেই ন্যূনতম ছাড় না দিয়ে আপোষহীন নেত্রী
হিসেবে একের পর এক মানুষ হত্যা করে চলেছেন তাঁর টিস্যুধরা হাতের অঙ্গুলি হেলনের
মাধ্যমে ক্ষমতার থেকে না থেকে, নির্বিশেষে। কোনো রকম রাখঢাক না রেখে তিনি
যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন, তাদের মুক্তির দাবীতে
রাজপথ গরম করেন, এবং সর্বোপরি এইসব ঘাতকদের রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী বলতে অস্বীকৃতি
জানান। যখন লাখে লাখে মানুষ মরেছে বাংলার সর্বত্র, নারীরা হয়েছেন লাঞ্ছিত
নির্যাতিত এবং মৃত্যুও বরণ করতে হয়েছে অনেককে পাক সেনাদের পাশবিকতার বলি হয়ে, তখনও
যিনি শতভাগ আনন্দে ক্যান্টনমেন্টে সময় যাপন করেছেন, এবং দেশ স্বাধীন হবার পর
সামান্য বিপত্তি হলেও বঙ্গবন্ধু নিজ কন্যার মর্যাদা দিয়ে জিয়াউর রহমানকে আদেশ করায়
আবার সাবেকী সংসার ধর্ম নির্বিঘ্নে করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে স্বামী দেবতার হাত
মেলানোর ফলেই দেশের ফার্স্ট লেডী হবার তুমুল আনন্দ ও অপ্রাপ্য সম্মান পেয়েছেন,
তিনি তো রাজাকারদের সমর্থন করবেনই। এটাই তো হবার কথা। তাই তাঁর ওঠা বসা এইসব দেশীয়
কুচক্রীদের সাথে দেশকে আবার ’৭১ পূর্ববর্তী অবস্হানে নেবার জন্য যদিও তিনি বোঝেন
না যে এখন দেশ বিরোধী শক্তি তাঁকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং কাজ শেষ হলে
তাঁকেই সবচে’ বিপর্যস্ত অবস্হায় পড়তে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার এখন পর্যন্ত না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক এমন আরো অসংখ্য কারণ আছে। তবে সাধারণ
মানুষ, স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ভূমিকাও এক্ষেত্র্রে নেহায়েত কম নয়। পৃথিবীতে
যেকোনো আন্দোলনের সফলতার পেছনে থাকে গণ মানুষের ভূমিকা। যারা যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারের দাবীতে আন্দোলন করছেন, তারাও একতাবদ্ধ নয়। সামষ্টিক প্রচেষ্টার পরিবর্তে
এই শ্র্রেণীর অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার নগ্ন উদাহরণ তৈরী করছেন। অন্তঃকরণে এরা রাজাকার
বিরোধী, কিন্তু অনেকেই এদের বিচার যতোদিন চায়ের
পেয়ালার উপষঙ্গ হিসেবে রাখা যায় ততোই সুবিধাজনক বলে মনে করেন। কেবল তাই-ই নয়, এরা
একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন। যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত ভালো প্রয়োজনীয় যে কোনো উদ্যোগ দেখলে এরা প্রতিহিংসায়
’৭১ এর ঐসব পাকিস্তানপন্হীদের মতোই কুচক্রী কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন এতোটুকুও না ভেবে
যে এটি ব্যক্তিগত কোনো প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তির বিষয় নয়. বরং জাতির অবশ্য পূরণীয়
চাহিদা।
রাজনীতি
ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী যে দুটো ভিন্ন ব্যাপার এটি অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন
না। একাত্তর যেমন ছিলো বাঙালী জাতীয় সত্তার সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত, অস্তিত্ব
রক্ষার সংগ্রাম, আত্ন পরিচয়ে বিকশিত ও গর্বিত হবার একমাত্র উপায়, মাথা উঁচু করে
দাঁড়ানোর সংগ্রামী পথ, ঠিক তেমনি দ্বিতীয়োক্ত বিষয়টিও আমাদের মানবিক হবার,
অন্যায়ের প্রতিবাদ করার, মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর, দেশপ্রেমীদের আত্নত্যাগের
মূল্য দেবার, জাতিগত ভাবে কলন্কমুক্ত হবার, দেশকে শত্রুমুক্ত করার, সংবিধানের
মূলমন্ত্র রক্ষার অপরিহার্য শর্ত। রাজনীতির সাথে এর একমাত্র সংযোগ এখানেই যে
সাধারণ বাঙালীর এই প্রাণের চাহিদা পূরণার্থে এবং
সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদেরাই বিচার ব্যবস্হার মাধ্যমে
দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বাইরের
হাজারো প্রতিকূলতা তো আছেই, এর উপর যখন একাত্ন হবার কথা যাদের তারাও প্রতিবন্ধকতা তৈরীতে
সচেষ্ট হন, তখন থমকে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। ঠিক এই কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার এখন পর্যন্ত ঝুলছে, শন্কিত হচ্ছি আমরা বারংবার আদতে এদের শাস্তির আওতায় আনা
যাবে কি না ভেবে। যদি এদের যথাযোগ্য সাজা দেয়া সম্ভব হয় তো সে কৃতিত্ব সবারই
নিঃসন্দেহে; অন্যথা হলে দ্বিধাহীনভাবে একবাক্যে সকলে বর্তমান সরকারকেই দুষবে, সাথে
থাকবে বিরোধী দলের বিরোধিতা অবশ্যই সঙ্গত কারণে, কিন্তু আবারো তলানীতে পড়ে রইবে
সচেতন মহলের এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, একজনের উদ্যোগ অপরজনের চরম বিরোধী মনোভাব নিয়ে
ভণ্ডুল বা প্রতিহত করার ঘটনা।
মুক্তিযুদ্ধের
অনেক বীর সেনানীও এখন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে গঠিত জোটে অংশ নিয়েছেন রাজনীতির অংশ
হিসেবে। যদিও আগে বলা হয়েছে দুটো বিষয় ভিন্ন, তথাপি সচেতন ভাবে কেউ স্বার্থসিদ্ধির
জন্য যখন দেশবিরোধী শক্তির সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে, তখন মুক্তিযোদ্ধা বা
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি নিশান লাগিয়ে পার পাওয়া যায় না। এদেরকেও তখন
নির্দ্বিধায় অপশক্তি হিসেবেই গণ্য করা উচিৎ। ৪০ বছর পরও রাজাকারদের দাম্ভিকতা এবং
আনন্দময় নিরাপদ জীবনের পেছনে এই গোষ্ঠীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সঙ্গত কারণেই এদেরও
বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
“The Four Oxen and the Lion”—এ ঈশপের মূল বক্তব্য ছিলো: “United we stand, devided we fall”। পৃথিবীর বহু দেশ জাতিগত ভাবে এই মন্ত্রে বিশ্বাসী; তাই যতোই ব্যক্তি দ্বন্দ্ব
থাকুক না কেনো, জাতীয় স্বার্থে এরা খুঁটি হয়ে দেশ রক্ষা করেন যার অনুপস্হিতি
আমাদের ব-দ্বীপকে বারংবার অস্হিতিশীল করে তোলে। ষড়যন্ত্র ও অর্ন্তদ্বন্দ্ব দেশের
সার্বিক পরিস্হিতি শুধু অসহনীয়ই করে তোলেনি বরং স্বাধীনতাকেও হুমকির সম্মুখীন করে
চলেছে। এতো স্বল্প সময়ে এতো বেশী সংখ্যক মানুষ হত্যার উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে আর
দ্বিতীয়টি নেই যদিও নারকীয় ঘটনা ও যুদ্ধাপরাধের ভুরি ভুরি প্রমাণ দেয়া যাবে। সেইসব
কুখ্যাত বর্বর ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সাথে যদি আঁতাত করে চলতে হয় বা সামান্য
ভুলের জন্য যদি আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ আবার হাত ছাড়া হয়ে যায়, আরো কতো
৪০ বছর লাগবে স্বাধীনতার স্বপক্ষ কোনো শক্তির ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের ফাইলের
ফিতা আবার খুলতে, কে জানে! কে নিশ্চয়তা দেবে ততোদিনে লাল সবুজের পতাকার হরণকারী
তৈরী হবে না, জামাত শিবির আরো সুসংগঠিত হয়ে মুসলিম বিশ্বের অর্থায়নে পরাজিত
পাকিস্তানের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের ইজারা দিয়ে দেবে না, জঙ্গিবাদের নিশ্ছিদ্র
ঘাঁটি বানাবে না আমাদের প্রিয় স্বদেশকে আর সেই অজুহাতে পশ্চিমা বিশ্বের আধুনিক
মারণাস্ত্রের আঘাতে আমাদের সুজলা সুফলা ভূমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে না? আর তেমন
পরিস্হিতি যদি তৈরী হয়েই যায় তো এর দায়িত্ব কি আমাদের ঘাড়েও এসে পড়বে না?
এখনই
তাই সময় ব্যক্তি স্বার্থ পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ইত্যাদি পাশে রেখে যার যতোটুকু
সামর্থ্য আছে এবং যেভাবে সম্ভব অন্তত যুদ্ধাপরাধীদের বিপরীতে এক হয়ে রুখে দাঁড়ানোর।
একাত্তরের তুলনায় সর্বাংশে ইতিবাচক অবস্হানে থেকেও স্বল্প সংখ্যক ধর্মান্ধ দেশ
বিরোধীর কাছে পরাজিত হবার প্রশ্নই আসে না। এবং এদের উৎখাত করতে হলে এবং এদের পূর্ব
প্রজন্মের কৃতকর্মের সঠিক বিচার করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির
একীভূতিকরণের দ্বিতীয় বিকল্প নেই। জাহানারা ইমামের সাথে যদি তখন সকলে একাত্নতা
ঘোষণা না করতেন, তবে তাঁর এই মহতী অতি আবশ্যকীয় উদ্যোগ কতোদূর এগোতে পারতো বলা
মুশকিল। আবার সরকার যদি নানা বয়সের নানা পেশার মানুষের সমর্থন না পেতো, শূন্য থেকে
শুরু করতে হতো সব কিছু, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রাথমিক তদন্ত শেষ হতেই আরো
কতোদিন লেগে যেতো তার ঠিক নেই। জিন কোয়ান যথার্থই বলেছেন: একক প্রচেষ্টার গুরুত্ব
অপরিসীম, কিন্তু সম্মিলিত প্রচেষ্টা ডাইনামাইট সমতুল্য যার শক্তিতে ধূলিসাত হয়ে
যাবে পাক ও আরব শক্তির ব্যূহজালে থাকা যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জামাত শিবির ও দেশ
বিরোধী চক্রের নিরাপদ আস্তানা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হতেই
হবে। রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতেই হবে।
নাজনীন সীমন
::
নিউ ইয়র্ক
c২০১২ ফেব্রুয়ারী ১২
c২০১২ ফেব্রুয়ারী ১২
No comments:
Post a Comment