নূরুন্ নাহার
৫৮৫ সংখায় ছুটির দিনে ‘আমার মায়ের মুখ প্রচ্ছদটি খুব আবেগময়। খুব ভাল লেগেছে নুসরাত ইমরোজ তিশার ‘কেমন করে এই ভার বহো তুমি মা? লেখাটি।
৫৮৫ সংখায় ছুটির দিনে ‘আমার মায়ের মুখ প্রচ্ছদটি খুব আবেগময়। খুব ভাল লেগেছে নুসরাত ইমরোজ তিশার ‘কেমন করে এই ভার বহো তুমি মা? লেখাটি।
‘মা-দিবসে মাকে নিয়ে সব লেখা গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। মা তো এমনই। মায়ের কাছে আমরা আমৃত্যু ঋনী। সব লেখাগুলোতেই মাকে অনেক সম্মনিত করা হয়েছে। মায়ের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্যের কথা, ভালবাসার কথা, স্মৃতি কথা অনেক ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। যতটা সম্ভব যার যার অঙ্গন থেকে মায়ের মর্যাদা সাধ্যমত দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার সময়ের অযুহাতে মাকে সময় না দিতে পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মায়ের ব্যাপারে যে কোন অযুহাতই প্রযোজ্য নয়। আমি হাজার হাজার মায়ের মলিন মুখ দেখি। অবহেলা পেতে দেখেছি মায়ের চোখের জল। মায়ের বুকের ব্যথা নিয়েও দেখেছি অনেক সন্তানকে উপহাস করতে। কোরআনে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক অবুঝ সন্তান কোরআনের বাণীকেও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে অক্ষম হয়েছে। আমার উপলদ্ধি দিয়ে তাই সেই সব সন্তানকে বলছি, শুধু‘মা দিবসেই নয়। আমরা যেন প্রতি সেকেন্ডে, মাকে মনের আয়নায় দেখি। মাকে নিয়ে ভাবি। মায়ের ব্যাপারে যেন কোন অযুহাত না দেখাই। সময়ের সবটুকু জুড়েই যেন মাকে ছুঁয়ে থাকি। মায়ের মনে যেন এক বিন্দু কষ্টও না রাখি। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, মায়ের মনের কষ্ট আমাদের সব খ্যাতি যশ করে দেয় নষ্ট। মাকে নিয়ে আরো সূক্ষ্মতায় ভাবতে হবে, তবেই মায়ের মর্যাদা পরিপূর্ণতা পাবে।
No comments:
Post a Comment