Sunday, 24 August 2014

ছলা-কলা-কাহিনী ♥♪♥

[উত্সর্গ: দূরদর্শী চিত্রশিল্পী এস. এম. সুলতান ও মোস্তফা আজিজ-কে]

বাংলাদেশ দুর্নীতিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে অনেকবার। এখানে চলে অনেক রকমের ব্যবসা। চাঁদা-বাজি, ধান্দা-বাজি, ধর্ম-ব্যবসা ও স্কুল-ব্যবসা ইত্যাদি। এই গল্পটা শুনেছি, আমার অগ্রজ, নুরুন নাহার এর কাছ থেকে। উনি নিজেও একজন শিক্ষক। বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের স্কুল-ব্যবসা। কাগজে-কলমে স্কুলের নির্ধারিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক রয়েছে নিয়মিত সরকারী অনুদান পাবার জন্য। সবকিছু ঠিক-ঠাক চলছে এবং কোনো দুর্নীতি-প্রতারণা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য রয়েছে স্কুল-পরিদর্শক।

এক স্কুল-পরিদর্শক একবার এক গ্রামে স্কুল পরিদর্শন করতে গেছেন। স্কুল-কতৃপক্ষ গ্রামের খেত-খামার থেকে বেশ কয়েকজনকে ভাড়া করেছেন, ছাত্র-ছাত্রী হিসাবে। আজ এখানে স্কুল-পরিদর্শক-কে খুশী করবার জন্য নানা-ধরনের খাবার আয়োজন। স্কুল-পরিদর্শক যাচাই করছেন, এরা আসলেই প্রকৃত ছাত্র-ছাত্রী কিনা?

স্কুল-পরিদর্শক:---"আচ্ছা বলতো এক টাকায় চারটে কলা হলে, পাঁচ টাকায় কয়টা কলা কিনতে পারবে?"
বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী হাত তুললো।
স্কুল-পরিদর্শক:---"আচ্ছা, ওই পেছন-সারি থেকে তুমি বলো।"
ছাত্র:---"স্যার কি কলা?"
স্কুল-পরিদর্শক:---"ধরো, সাগর-কলা।"
ছাত্র:---"স্যার এক টাকায় চার-ডে সাগর-কলা! আপনার পাছার ভেতরে ঢুকায়ে দিবিনি! কলা অতো সস্তা না!"

আমাদের শিক্ষাক্রমে এরকমের অনেক অবাস্তব উদাহরণ ভুরিভুরি। আমাদের সামনে অপার সুযোগ - আসুন, আগে নিজে শিখি। তারপর, অন্যকে শেখাই। 'বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।'


ফটো: কলা, ফেসবুক ২০১৪ জুলাই ২৮

♥♪♥
শফিউল ইসলাম
কেমব্রিজ, ওন্টারিও, ক্যানাডা
রচনাকাল: ২০১৪ জুলাই ২৮
প্রকাশকাল: ২০১৪ অগাস্ট ২৪
শেষ সম্পাদনা: ২০১৪ অগাস্ট ৩০

সৌজন্যে:
Life2Love
ShafSymphony
Vision Creates Value

No comments:

Post a Comment