নূরুন্ নাহার
(মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার
রোকনুজ্জামান রবার্ট স্মরণে)
তোমার ওপারে যাওয়ার
টিকিট-
বুকিং দেওয়া হয়েছিল
শুনেছিলাম।
কখন যেন চলে যাও-
ভয়ে-ভয়ে তাই দিন
গুনছিলাম।
ভবিষ্যত ভাবুকের
মত ভাবছিলাম-
তুমি হয়তো চলে যাবে,
বসন্তে অথবা বৈশাখে।
টিকিটের সিরিয়াল
কবে পাবে-
দিন-ক্ষণ কিছুই জানা
ছিলনা;
তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও
শেষ দেখা হলোনা!
তুমি যেদিন চলে গেলে-
সেদিন মাঝ রাতেই
কোকিল ডেকেছিল;
ভার কণ্ঠে তোমার
ওপারে যাওয়ার কথা গোপনে বলেছিলো।
সবাই আজ তোমার কথা-
জনে-জনে কানে-কানে
বলছে,
তোমার আত্মার চার
পাশ ঘিরে-
ময়ূরেরা পেখম মেলে
নাচছে
প্রজাপতিরা পরীর
মত পাখা দুলিয়ে হাসছে।
তোমাকে নিয়ে আমাদের
কত কথার মিটিং চলে
থানা রোডে পাবলিক
লাইব্রেরির বিশ্বস্ত টেবিলে।
তোমার কবিতার কথা-
‘স্বপ্নের সিথান’
কাব্য যেন সংস্কৃতির উঠোনে
অমূল্য রতন।
আমরা তোমাকে একবারও
ভুলিনি।
তোমাকে ভোলেনি গাছের
পাতারা, গ্রীস্মের সিঁদুর
রাঙা কৃষ্ণচূড়ারা
ঘাস ভেজা শিশিরেরা-
পাঁচ গাঁয়ের এঁকে
বেঁকে যাওয়া মেঠো পথেরা।
সাঁঝ রাতে জ্বলে
ওঠা বাঁশ বনে জোনাকিরা আলোরা
রংধনুর সাত রংআ আভারা-
তোমাকে ভোলেনি-
রক্তে ধোয়া এই বাংলার
নাগরিকেরা।
তুমিতো এই মানচিত্রের
বরেণ্য সংস্কৃতিবান মানবিক মুক্তিযোদ্ধা।
তোমাকেতো ভোলা যায়না-
হয়তোবা ভোলা যাবেনা
কোনদিন,
তাইতো তোমার কাছে
আমাদের
একগুচ্ছ শাপলার হাসির
মত
হৃদয় জোড়া নাগরিক
ঋণ।
প্রকাশ সূত্র : খোন্দকার
রোকনুজ্জামান রবার্ট
স্মরণ
শৈলকুপা নাগরিক কমিটি।
শৈলকুপা, ঝিনাইদহ।
১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯,
২৪ মে ২০১২
Nurun Nahar, নূরুন নাহার
No comments:
Post a Comment