Sunday, 27 February 2011

কাবেরী দাশ




কাবেরী দাশ
 

gobheer_raate.wmv




Uploaded on Feb 27, 2011
খ্যাতনামা নজরুল গীতি শিল্পী ও সঙ্গীত শিক্ষিকা কাবেরী দাশের গাওয়া একটি ভালোলাগার মতো নজরুল গীতি। শিল্পী কাবেরী দাশ বর্তমানে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন এবং সঙ্গীত পরিষদ নামে একটি সঙ্গীত শিক্ষালয় পরিচালনা করছেন।
  • Purchase

  • Category

  • License

    • Standard YouTube License


 
তন্ময় করে দিল গানটি। অনেক ভাল গেয়েছেন শিল্পী কাবেরী দাশ। শিল্পীকে শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ গানটি আপলোড করবার জন্য।
 
khub bhalo laglo.Thanks for sharing.
 
Awesopme voice.Thanks for sharing.
 
i love ur voice.
 
ধন্যবাদ গানটি পছন্দ করার জন্য।
 
গভীর রাতে জাগি খুঁজি তোমারে!

  1. প্রবাসে সুনামগঞ্জের এক গানের দোয়েল কাবেরী দাশ | সুনামগঞ্জ ...

    www.sunamganjprotidin.com/প্রবাসে-সুনামগঞ...
    Translate this page
    Jul 14, 2014 - -ইমানুজ্জামান মহীঃ-কাবেরী দাশ একজন শিল্পী। একজন মা। একজন প্রবাসী। অগনীত মাইল দূরত্বে গড়েছেন নিবাস। হৃাদয়ে পোষে রেখেছেন বাংলা। বাংলার প্রান। বাংলার গান। রেখেছেন জিয়ে বিদেশের মাটিতে। জাত শিল্পীর সেই একজন কাবেরী দাশ। কোথায় বাংলা? কোথায় আমেরীকা। পূর্ব থেকে পশ্চিম। হোক যেখানেই। বাংলার সংস্কৃতিকে ...
  • নজরুল সঙ্গীত : সুদূর পারে-কাবেরী দাশ ||ROKOMARI.COM||

    www.rokomari.com/music/59208
    Translate this page
    Artist: কাবেরী দাশ. Not rated yet | No review yet. Price: Tk. 75.0 Tk. 64.0. Discount: Tk. 11.0 ( 15.0 % ). Loading. Only 30 Taka Delivery Cost on any amount of purchases. Pay Cash on Delivery all around Bangladesh. Get it in 2-5 working days. Label: লেজার ভিশন. Availability: Available at publisher's end. ID: 59208.
  • কাবেরী দাশ-||ROKOMARI.COM||

    www.rokomari.com/music/browse;jsessionid...?artist...
    Translate this page
    Artist Music Director Label All Music. কাবেরী দাশ Music. 1-1 of 1. নজরুল সঙ্গীত : সুদূর পারে (Music). কাবেরী দাশ. Not rated yet | No review yet. Price: Tk. 75.0 Tk. 64.0. Only 30 Taka Delivery Cost on any amount of purchases. (Pay Cash on Delivery all around Bangladesh). Get it in 2-5 working days. Label: লেজার ভিশন. Loading.
  • শাস্ত্রীয় আর বাংলা লোকগানের এক মহান সাধকের প্রস্থান

    mzamin.com/details.php?mzamin=NDAxNDI...
    Translate this page
    1 hour ago - বাবা-মা লোককবি ও লোকগানের শিল্পী হওয়ায় খুব ছোটবেলা থেকেই গান শুনে বড় হন রামকানাই দাশ। লোকসংগীতে তার শিক্ষক বাবা-মা দু'জনেই। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। বিয়ে করেন সুবর্ণা দাশকে। সুবর্ণা-রামকানাই পরিবারে তিন ছেলেমেয়ে। সবাই গানের সঙ্গে যুক্ত। বড় মেয়েকাবেরী দাশ থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
  • Saturday, 26 February 2011

    ও গো নিরুপমা ♥♪♥

    ও গো নিরুপমা



    Farhana Shanta, Songs, ফারহানা শান্তা,

    Uploaded by on Feb 26, 2011
    ফারহানা শান্তা এ গানটি আমাদের পারিবারিক বন্ধু দম্পতি আজিজ ভাই-ইমা ভাবীর মেয়ের প্রথম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেয়েছিল। এ গানটি প্রয়াত শিল্পী কিশোর কুমারের একটি অন্যতম জনপ্রিয় গান। আশা করি গানটি আপনারা উপভোগ করবেন। এ গানটি আইফোনে রেকর্ড করা হয়েছে।

    Category:

    License:

    Standard YouTube License 


    Monday, 21 February 2011

    International Mother Language Day: When, Where, What and Why

    International Mother Language Day: When, Where, What and Why

    by Naznin Seamon on Monday, February 21, 2011 at 12:37am ·

    ‘International Mother Language Day’, the term itself is self explanatory of its meaning. On November 17, 1999, February 21 was announced to be the International Mother Language Day by UNESCO. The historical incidents trails us back to 1952 and even before, that involved continuous oppression of the then, East Pakistan, now Bangladesh, by the West Pakistan after the British ruling for 200 years.

                Not only that people of Bangladesh were exploited, oppressed in education, work places, and every other sector, the Pakistani Govt. finally raised their vicious axe to the language of the people where Bengali was spoken. Mohammed Ali Jinnah, the Governor of Pakistan had proclaimed Urdu to be the one and only language of Pakistan, both East and West, which ignited the long held anger and frustration of the Bangladeshi people. Being rooted from Sanskrit, according to the people in power, Bengali was considered as a lower class and religiously biased language for the Hindu population while Urdu was given eliteness due to its’ closeness to Arabic and Farsi languages; and therefore, decided to be the language of the Muslim population which make it valid to say that one of the underlying reasons was hatred towards a specific group led by religious dogma.

                The student population right away protested against this vulnerable decision. Being aware of the uproar of this act, to prevent the people from exercising their rights, the Govt. called for a curfew. In a quick response, the students and political leaders demonstrated their objection to such declaration by going out on the street ten individuals in a group. Their desperate love for Bangla and to preserve their rights made them courageous and thus, reluctant to follow the will of the people in power. While protesting, the Pakistani Army commanded by the high officials started to fire at the people. Mohammad Salauddin, Abdul Jabbar, Abul Barkat, Rafiquddin Ahmed  along with an unknown rickshaw puller whose body laid on his own rickshaw were killed. Fueled with anger, Bengali people, on the very same night constructed the 1st Shaheed Minar, Monument for the Martyrs which was destroyed by the Pakistani on the next day. The third one was rebuilt after the Freedom Fight of Bangladesh, in 1971, replicating the second version of this monument that was erected in 1957 and destroyed in the war of ’71.

                One may ask, why should we have an International Mother Language Day? Well, the purpose is to first of all, show respect to the Martyrs of 1952 who had devoted their lives for language. Secondly, it is a necessary reminder of the need to maintain and preserve our own mother tongues. Language is not a mean to talk only, rather it is strongly tied to our heritage, identity, culture, history; it tells us who we are. It is the bridge that connects our present to the past as well as our future. Of course, there are many other significant characteristics of language, but most of all, it’s a skill too.

                According to the linguistic researchers, except for 10% out of  6,000-7,000 languages that exist now in various parts of the world will be extinct in next 100 years. We have already lost many languages, and therefore, the historic glories, literature, culture, alphabets, writing systems, stories and myths attached to that language. In this technological era, it will be a great disaster if we don’t attempt to preserve the endengered languages.

                Unlike many other languages, Bengali has its’ own alphabets which manifests its’ richness. It is one of the most sweetest languages amongst all. It has its’ own writing system which follows strict rules and regulations. Banglali is the only nation on the face of earth who had sacrificed lives for language. February 21 represents Bangali’s boldness, honesty, sincerity, and passionate love for its’ language. February 21 symbolizes self-empowerment, and self- assertion against injustice.

                In the beginning of the International Mother Language Day 2011, I greet everyone. I am urging everyone to try your best to practice your mother tongue and pass it to your next generation despite of the situation you are in, make the day purposeful and show your gratitude to the martyrs of the language movement.
    · · Share

    International Mother Language Day: When, Where, What and Why


    নাজনীন সীমন
    ::
    নিউ ইয়র্ক
    c২০১১ ফেব্রুয়ারী ২১

    Wednesday, 16 February 2011

    Anoushka Shankar plays 'Pancham Se Gara'

    Anoushka Shankar plays 'Pancham Se Gara'

    Anoushka Shankar plays 'Pancham Se Gara'

    SnapshotsMusicSnapshotsMusic·114 videos
    1,817
    1,623,032
    Like 10,117     Dislike 90
    Uploaded on Feb 16, 2011
    Ravi Shankar tribute: http://www.snapshotsfoundation.com/articles/113-ravi-shankar-tribute

    https://twitter.com/snapshotsmusic www.snapshotsfoundation.com Innovative sitar player and composer Anoushka Shankar plays 'Pancham Se Gara' by Ravi Shankar with Tanmoy Bose (tabla) and Kenji (Tampura) at the Neurosciences Institute. http://www.anoushkashankar.com
    • Category

    • License

      Standard YouTube License

    Sunday, 13 February 2011

    Stamp - 2011 ICC Cricket World Cup

    2011 ICC Cricket World Cup Stamp Design and Composition by Manzare Shamim ♥♪♥ Bangladesh




    2011 ICC Cricket World Cup Stamp Design and Composition by Manzare Shamim ♥♪♥ Bangladesh


    More Information:

    https://www.stampworld.com/stamps/Bangladesh/Postage-stamps/g1039/

    ♥♪♥

    VCV is delighted to publish Dr Manzare Shamim's Artworks. Technical Communications: WA 20201122

    Published: 20110213

    Last Updated: 20201122

    Saturday, 12 February 2011

    তুই, তুমি অথবা আপনি


    তুই, তুমি অথবা আপনি
    by Naznin Seamon on Saturday, February 19, 2011 at 11:19pm ·

    ঠিক জানা নেই পৃথিবীতে সব মিলে কতগুলো ভাষায় বয়স অথবা সম্পর্কের মাপকাঠিতে নির্ধারিত হয় দ্বিতীয় পুরুষের সর্বনাম; তবে সব মিলে নেহায়েত কম হবে না বলেই বোধ করি যদি না এর উল্টোটা সত্যি হয়। এই ধারাকে আমি অন্ততঃ মনে করি যেকোন ভাষার প্রাচুর্য ও উন্নতির পরিচায়ক যদিও ভাষা বিজ্ঞানীদের মতামত-ই এ ব্যাপারে শিরোধার্য। যদি মারাত্নক কোন ভুল করে না থাকি, তাহলে বাংলা, হিন্দী, উর্দু, স্প্যানিশ, চায়নীজ (ম্যান্ডারিন), আরবী, ফার্সী ইত্যাদি ভাষায় ছোট-বড়-সমবয়সীতে সর্বনাম ব্যবহারে ভিন্নতা আছে যা কিনা পুরোদস্তুর অবর্তমান ইংরেজী ভাষায়। স্প্যানিশে অবশ্য ‘Tu’ ব্যবহৃত হয় অনুজ আর সমবয়সীদের ক্ষেত্র্রে এবং ‘Usted’ অগ্রজদের বেলায়। যেহেতু ইংরেজী ভাষা নতুন শব্দের প্রবহমানতায়  বিশ্বাসী, সেহেতু এ ক্ষেত্রে অন্ততঃ এই বিভিন্নতার অনুপস্হিতি প্রশ্ন জাগায় বৈকি।

         তবে সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কথা বলা যাক কেবল বাংলাভাষীদের নিয়ে। লক্ষ্যণীয়, ভাষা বিষয়ক কোন গূঢ় তত্ত্বালোচনা এই রচনার উপপাদ্য নয়; বরং ভাষা ব্যবহারকারীদের আচরণই এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মূল লক্ষ্য। তুই, তুমি এবং আপনি, অথবা আপনি, তুমি ও তুই ---যেকোন অনুক্রমেই বলা হোক না কেন, বাংলাতে এদের ব্যবহার অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট। বয়োজ্যেষ্ঠ, সম্মানিত, অপরিচিত কাউকে সম্বোধনে সাধারণতঃ আপনি, সমবয়সী, বন্ধু, কাছের মানুষদের ‘তুমি’ আর তুচ্ছার্থে কনিষ্ঠদের অথবা সম্পর্কের নিকটতার উপর ভিত্তি করে ‘তুই’ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে দেখা যায় সম্বোধনের এই তিন রূপের মধ্যে স্লুইস গেটের মত প্রবেশদ্বার রয়েছে, অর্থাৎ কিনা সম্পর্কের মাত্র্রা বাড়া কমার সাথে সর্বনামের প্রকৃতি বদলে যেতে পারে।

              ধরা যাক বাবা-মা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, খালা-মামা, ফুফু-চাচা এবং এঁদের বিপরীত লিঙ্গধারীগণ, বড় ভাই-বোন এদের সবাইকে সামাজিক প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ‘আপনি’ বলে সম্বোধিত করার কথা। যুগের পরিবর্তনে হোক বা অন্য যে কোন কারণেই হোক এসব সম্পর্কে অধিকাংশ ক্ষেত্র্রে ‘আপনি’ এখন ‘তুমি’ তে এসে দাঁড়িয়েছে যা সুখকরই মনে হয় কেননা এতে ভালবাসার আহ্লাদিত ভাবটা একটু বেশীই ঠেকে, কাছের মানুষগুলোকে আরো বেশী কাছের বলে মনে হয়।

         আবার স্বামী-স্ত্র্রী সম্পর্ক  বিবেচনায় এর সম্বোধন কোনটি হওয়া উচিৎ তা খানিকটা চিন্তার বিষয় এ কারণে যে যদি বয়স হয় সূচক, তবে যেহেতু বাংলার অধিকাংশ স্ত্র্রী তাদের স্বামীদের থেকে বয়সে ছোট হয়ে থাকেন ক্ষেত্রবিশেষে যে ব্যবধান ২০ এরও উপরে দাঁড়াতে পারে যেটা খুব কাছ থেকে দেখা বলে অসম্ভব বা অবাস্তব কিছু মনে হয়না, সেহেতু সূত্রানুযায়ী ‘আপনি’ বলেই ডাকা উচিৎ স্বামীদের; আবার যদি সম্পর্ক আমলে আনা হয় তাহলে এই ধরনের মধুর সম্পর্কের ক্ষেত্র্র্র্রে ‘তুমি’ ব্যবহারই প্রযোজ্য উভয় পক্ষ থেকে। স্বামী-স্ত্র্রী সম্পর্কের মধুরতা মাপাও এই লেখার প্রতিপাদ্য নয়; অতএব, মধুর সম্পর্ক মধুরই থাক আপাতত, তা না হলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়তে পারে। বলা বাহুল্য, এই বিশেষ ধরনের সম্পর্কে ‘তুই’ এর ব্যবহারও ব্যাপক লক্ষ্যণীয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্র্রেই একপাক্ষিক ভাবে: পুরুষ থেকে নারীতে এর কোনোটা বোধ করি আঞ্চলিক প্রভাব আর বাকীটা তুচ্ছার্থে ব্যবহৃত হয়। রাগান্বিত হলে বা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলেই পুরুষেরা ‘তুমি’ থেকে নেমে আসেন ‘তুই’তে—শিক্ষিত কি অশিক্ষিত অনেকেই---সবাই নন কোনোভাবেই।

         সম্বোধনের এই বিভিন্নতা কিন্তু আমাদের প্রয়োজনীয় এইসব সম্পর্ক ছাড়াও আরো আরো একটি বিষয় মনে করিয়ে দেয় খুব ঋজুতার সাথে অথচ মৌনভাবে। আর তা হোল আমাদের সামাজিক শ্র্রেণীভেদ বয়স যেখানে কোন বিষয়ই না। তাইতো অশীতিপর কোন বৃদ্ধ রিক্সাচালক, ভিক্ষুক বা ফেরিওয়ালাকে সমাজ ‘তুমি’ বলতে এতোটুকু দ্বিধা করে না; কেউ কেউ আরো একধাপ নিচে নেমে তুই-তোকারি করেন অবলীলায়। আবার হাঁটুর বয়সী কাউকে বিত্তবানের খাতায় নাম আছে বলে ‘আপনি’তে আপাদমস্তক আচ্ছাদিত করা হয়। এটাতো আকাশ পাতাল ফারাক; খুব কাছাকাছি ভিন্নতা সীমাবদ্ধ করলে দেখা যাবে বাড়ী বাড়ী মাছ বা সব্জী, ডিম ইত্যাদি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ফেরিওয়ালাদের যেখানে ‘তুমি’ বলে সম্বোধিত করা হয়, বাজারের ভেতর দোকান নিয়ে গদিতে বসলেই এই ডাক অনেকেই পরিবর্তন করে ‘আপনি’ করেন। আবার দেখা যাবে সোনাদানা, শাড়ী-কাপড়, গাড়ী-বাড়ী ইত্যাদির বাজারে বয়স কোন ব্যাপারই না---এখানে শুধু ‘আপনি’ আর ‘আপনি’ করেন---কারণ এর সাথে জড়িত রয়েছে অর্থগত শ্র্রেণী বৈষম্যের কাঠিন্য। ঠিক একই ভাবে দেখা যায়, রিক্সা ওয়ালারা ক্বচিৎ কখনো কারো বিশেষ অভ্যাসবশতঃ ‘আপনি’ ডাকে সম্বোধিত হলেও হতে পারেন; নতুবা ‘তুই’ না হলেও ‘তুমি’ এই শ্র্রেণীর বা পেশার মানুষদের জন্য সার্বিকভাবে বরাদ্দ। অন্যদিকে, ট্যাক্সি ক্যাব চালকেরা কদাচিৎই ‘তুই’ বলে সম্বোধিত হন, এবং ‘তুমি’ বা ‘আপনি’-ই এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে কারণ এদের অনেকেই শিক্ষিত—পূর্ণ, অর্ধ বা স্বল্প যাই হোক না কেন শিক্ষার চাদর এঁদের চামড়ায় জড়ানো। তার চেয়ে বড় কথা, রিক্সাচালক বা হকার বা মেরামতে নিয়োজিত যোগালীদের মতো এঁদের নুন-পান্তা অবস্হা নয়। শ্রেণী বৈষম্যেরর কি নিদারুণ উপসংহার!

         শ্রেণী বৈষম্য, নারী-পুরুষ সম্পর্ক ইত্যাদি থেকে বেরিয়ে সাদামাটা সহজ সরল সম্পর্কে দেখা যায় অপরিচিত, অর্ধ বা স্বল্প পরিচিতদের ‘আপনি’ বলেই সম্বোধন করা হয় যা কিনা নিতান্তই যুক্তিসঙ্গত। সময়ের স্রোতাবহে তা ‘তুমি’ ‘তুই’ তে রূপান্তরিত হতেই পারে—কোন সমস্যা নেই এতে; সমস্যা হলো কেউ কেউ যখন সময়কে অগ্রাহ্য করতে চান। এমন উদাহরণ বিরল নয় যেখানে প্রথম পরিচয়েই ‘তুমি’ বলে ডাকা হয়, কিংবা সুযোগ বুঝেই দু’চারবার কথোপকথনের পরই ‘আপনি’ নেমে আসে ‘তুমি’-তে যা কিনা আবার পুরুষ থেকে নারীতেই ধাবিত অধিকাংশ সময়ে অর্থাৎ বেশীর ভাগ ক্ষেত্র্রে পুরুষেরাই সম্বোধনের এই পরিবর্তনে উদ্যোগী হন। এখানে বলা বাহুল্য, কলকাতার বাঙালীদের কথা বলা হচ্ছে না যেখানে প্রথম থেকে ‘তুমি’ সম্বোধন করা সম্ভবত এই অংশের সংস্কৃতির একটি অংশ---অতএব তা চোখকে বেঁধে না বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হয়না। এই অনুশীলন-উদাহরণ বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সবচে’ দুঃখজনক হোল, এরা এক মুহুর্তের জন্যও অপর পক্ষের সম্মতির কথা চিন্তা করেন না। আরো হাস্যকর ব্যাপার হোল, এঁরা ‘আপনি’ আর ‘তুমি’-তে অনবরত ভ্রমণ করতে থাকেন এইসব ক্ষেত্রে সম্ভবতঃ এক ধরনের অনিশ্চয়তা বোধ থেকে---তথাপি নিশ্চয়তা আনয়নের কোনো প্রচেষ্টা তাঁদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় জনসম্মুখ থেকে ব্যক্তিগত আলাপে সম্বোধনের তফাত যাতে কিনা প্রমাণ হয় এই ‘তুমি’ ‘আপনিতে’ কোনো ঘাপলা আছে। আর এটার ধরন কি হতে পারে সে সম্পর্কেও সবারই ধারণা আছে।

         আজকাল আবার নারী গোষ্ঠীর মধ্যেও এর প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বলা নেই, কওয়া নেই, এরা যে কোন বয়সের মানুষদের ‘তুমি’, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘তুই’ বলে আহ্লাদিত হন যেখানে হাবেভাবে একধরনের মোড়লীপনা থাকে। সাথে থাকে মেকী ভালোবাসার আস্ফালন এবং সম্বোধনের কৃত্রিমতা তুলে ধরেন বোধহয় নিজের অজান্তেই পুনরাবৃত্তির বাড়াবাড়িতে। কেউ কেউ আবার ব্যক্তিগত উষ্মা প্রকাশের জন্যও এই মাধ্যম বেছে নেন যা তাদের ব্যক্তিগত রুচিহীনতাকেই বরং চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

         লক্ষ্যণীয় যে, এই বিশেষ শ্রেণীর লোকদের এই বিশেষ আচরণে শিক্ষা বা অর্থ কোনো নিয়ামক নয়---বরঞ্চ রুচি, মানসিকতা, নৈতিকতা, ভদ্রতা বোধের পরিচায়ক। সম্বোধনে আদতে কিছু যায় আসে না যদি তাতে থাকে স্বচ্ছতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বোঝাপড়া, সম্পর্কের একটা পর্যায়ে এমন রূপান্তর অস্বাভাবিক কিছু নয়। উপরোক্ত চারটি গুণাবলীর একটিও এখনো বাঙালীরা(জাতিগত ভাবে) সামগ্র্রিকভাবে অর্জন করতে পারেনি, আদতে কখনো পারবে কিনা সন্দেহ---আরো অন্ততঃ এখন, যখন কিনা বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র্র কিছুই বলেনা একজন মানুষ সম্পর্কে। তাছাড়া ওগুলো কিনতেও পাওয়া যায় চড়া বা মাঝারি দামে। ফলে, এ ব্যাপারে ব্যক্তি সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।

         অনেকে আবার ‘তুই’ বা ‘তুমি’ ব্যবহার করে থাকেন অনেকটা আরোপিত ভাবে। কৃত্র্রিম গোলাপ টিকে থাকে বছরের পর বছর, শুধু ধুলো ঝেড়ে মুছে দিলেই ঝকঝক করে; কিন্তু আসল ফুলের মত সুগন্ধ কখনোই দেয় না। এতে আমাদের চোখ সাময়িক তৃপ্তি লাভ করে বটে, কিন্তু প্রকৃত আনন্দ হয় না যা হতে পারে অনেক কষ্টে লালিত গাছে ঝোলা একটি গোলাপ দেখে বা ছুঁয়ে। ঠিক তেমনি, জোর করে পাতানো বা ত্বরান্বিত করার চেষ্টায় ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’ বা ‘তুই’-তে এসে বেশীর ভাগ ক্ষেত্র্রেই অপর পক্ষের অস্বস্তি ও বিরক্তির উদ্র্রেক ছাড়া আর তেমন কিছুই হয়না সর্বনামের এহেন অপব্যবহারে। তাছাড়া হাজার বছর ধরে যে ভাষা ও সংস্কৃতি পরিপক্ক হয়েছে, তাকে সাময়িক তৃপ্তি লাভের আশায় অবজ্ঞা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। সর্বনাম এতে কোর্টে গিয়ে মানহানির মামলা না ঠুকলেও বাংলা ব্যাকরণ ও ভাষা ক্ষতিগ্রস্হ হবে সুনিশ্চিত।
    · · Share


      • আজিজুল হক
        lekhati asholei chomokprodo. ekhetre udahorngulo amake mohito koreche. bisheshoto: amader vashay "nichu sreni" ke TUMI bola ar হাঁটুর বয়সী কাউকে বিত্তবানের খাতায় নাম আছে বলে ‘আপনি’তে-shommodon kora.
        ebishoye ekta mojar kotha mone pore gelo.
        amar hobu bou er shathe boyosher parthokko 5 bosor er ashepashe. prothom dorshone uni amake APNI ar unake ami Tumi bolei innings shuru korlam. jokhon bondhutto er shathe premer shomporko sthapon hoye porlo- Uni amake TUMI bolte giye jei lojja pelo!! sei golpo arekdin.

        Lekhati sokol er jonne pora dorkari. amar vishon valo legeche.

      • Sk Mosharraf Hossain কি কথা তাহার সাথে, তার সাথে? আকাশের আড়ালে আকাশে, মৃত্তিকার মত তুমি আজ, তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।

      • Monika Chakraborty lekhati valo legeche.

      • Sk Mosharraf Hossain আপসে ফের তুম হূয়ে, ফের দিলকা মেহমা' হো গ্যায়ে।

      • Mojaffor Hossain I have learnt many things from this writing. Thanks for sharing.

      • Sk Mosharraf Hossain সেই কবে থেকে আপনাকে তুমি বলার ইচছে। 'আমার ইচ্ছে ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োলো' :)

      • Tozam Hussain Chomotkar ekta note. sundor ekta upasthapon. bubu my sweet bubu.

      • Kazi Mamun আপনার যুক্তিগুলো অকাট্য ধরণের। তবে আপনি-তুমি তুই এটা পুরোটাই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে বলে আমি মনে করি। আমার অনেক বয়সে ছোটরাও আমাকে তুমি করে বলে। আবার কখনো বয়সে বড়রাও আপনি না বলে তুমি বললে গায়ে লাগে। আমিও তাই। অনেক সময় বয়সে ছোটকেও আপনি বলি, অনেক সময় বয়সেও বড়কেও ডাকি তুই বলি।

      • Chanchal Mizanur Rahman সীমন ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি,তুমি ও তুই নিয়ে খুব জ্ঞানগর্ভ আলো্চনা করেছেন। ভাবনায় দোলা লাগল !নতুন করে ভাবতে শুরু করেছি সর্বনামের এই ভিন্নতা নিয়ে।আমি শুধু এ্কটু যোগ করছি অঞ্চল ভিত্তিকও এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

      • Reza Rahman তাৎক্ষনিক সাড়া। "তুই, তুমি অথবা আপনি"। বিষয় নির্বাচনে অভিনবত্ব আছে আপনার। খুবই চমৎকার লেখা। খুশি হয়েছি যথেষ্টই। তবু আমাদের বলার মত কিছু যে রাখেননি, তা না। অত লিখতে পারবোনা ভাই এই বেলা। আপনার সেল # টা পেলে কল করে এবিষয়ে আপনাকে আরো শুনতে চাইবো, আবার কিছু বলারও চেষ্টা করতেই পারি। অশেষ প্রীতিশুভেচ্ছা সীমন।

      • Naznin Seamon
        Azizul Hoque@ আপনার গল্পটি শোনার জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম; ভুলে যাবেন না যেনো। আপনাদের দু'জনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

        Kazi Mamun@ সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে এবং আমিও তাই বলতে চেয়েছি। যাই বলেই সম্বোধন করিনা কেন এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্
        ধাবোধের পরিচয় থাকতে হবে।

        Chanchal Mizanur Rahman@ ঠিক বলেছেন। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে শুধু এটি না দেখিয়ে সামগ্রিক অর্থে আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে এ্ই ব্যবহার উল্লেখ করা উচিৎ ছিলো। বিশেষতঃ সিলেট অঞ্চলের লোকেরা বয়স, সম্পর্ক নির্বিশেষে 'তুমি; ব্যবহার করে থাকেন সচরাচর। আপনার কাছ থেকে এ বিষয়ে আরো উদাহরণ ও আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম।

        Reza Rahman@ অবশ্যই আপনাদের বলার অনেক কিছু আছে। আপনাদের কাছ থেকে আরো জানার জন্যই মূলতঃ আমার এই প্রচেষ্টা। সেই অপেক্ষায় রইলাম।

        আমার মূল বক্তব্য আমরা যাই করি না কেনো তাতে যেন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অন্যের মতামতের প্রতি সচেতনতা, স্বতর্স্ফুততা এবং সর্বোপরি ভাষা সচেতনতা থাকে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। আপনাদের সবার কাছ থেকেই শিখতে চাই, জানা অজানা ভাগ করে নিতে চাই। ভাষা দিবসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা সবাইকে।

      • Nurul Islam সামগ্রিক দিক দিয়ে লেখাটি বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল...সুপাঠ্য ও বটে...

      • Hasan Mohisopan
        ‎"কৃত্র্রিম গোলাপ টিকে থাকে বছরের পর বছর, শুধু ধুলো ঝেড়ে মুছে দিলেই ঝকঝক করে; কিন্তু আসল ফুলের মত সুগন্ধ কখনোই দেয় না।"------অতি খাঁটি কথা। কাঞ্চন-কৌলিণ্যের এই যুগে আজকাল তাই ভার্চুয়াল কাঞ্চনই সোভা পায় যত্রতত্র, দূর থেকে তাই-ই খাঁটি হিসবে ব
        ুঝিয়ে কূলিন করে সবার কাছে আমাকে।
        আজকাল সময়াভাবে খুব বড় লেখা মন দিয়ে পড়াই হয় না কিন্তু লেখাটা বুবুর তাই আমাকে পড়তেই হল, সত্যিই খুব জ্ঞানগর্ভ লেখাটা। আমাদের বাঙ্গালী সমাজের এক দগদগে ক্ষতস্থানে ঘা দিয়েছেন তিনি, অল্প বিস্তর তার শানিত চাবুকের জ্বালা বোধকরি আমি সহ সবাই টের পেয়েছিও। আমরা শ্রেণী বৈষম্যের ঘোর বিরোধী, এ কথার বক্তৃতা মঞ্চে তুবড়ি ছুটাতেও আমরা সবাই দারুণ পারঙ্গম কিন্তু আমাদের আচরণে এই সামান্য সর্বনামের ব্যবহারই বলে দেয় তার সর্ব উপসংহার। শুধু এই সর্বনামের কারণেই আমাদের দেশের যে শিক্ষিত ছেলেটি যে কাজটি দেশে করতে দারুণ লজ্জ্যা পায় বিদেশের মাটিতে সে স্বাচ্ছন্দে সেই কাজটিই করতে পারে অবলিলায় কারণ এই সর্বনামের সর্বনাশা চাবুকের আঘাত সয়ে তাকে আর সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় না সারা দিনমান। বিদেশে মেথরের কাজ করেও জমে প্রচুর টাকা আর সেই টাকায় দেশের মাটিতে কাঞ্চণের দৌলতে যে কেউ কূ্লীন হতে পারেন অনায়াশে। আর একবার কূলীন হওয়া মানেই তুই-তোকারি তার উপরে প্রয়োগ একেবারেই হারাম। বহু দিকের বর্ণনার এই সুনিপুন লেখাটি আমাদের দেশের শিশুপাঠ্য তালিকাতে স্থান পাওয়া উচিৎ- অন্তত আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন এখন থেকেই এ বিষয়ে চিন্তা করতে শেখে, সিদ্ধান্ত নিতে শেখে সমাধানের

      • Robiul Manik খুবই চমৎকার এবং সমৃদ্ধ লেখা।

      • Sounak Datta Tanu খুব ভাল লেখা।পড়ে চমত্‍কৃত হলাম।নিরন্তর ভাল থাকুন
    তুই, তুমি অথবা আপনি




    নাজনীন সীমন
    ::
    নিউ ইয়র্ক
    c২০১১ ফেব্রুয়ারী ১২